কুরআন শিক্ষা


তাজবীদ শিক্ষা


তাজবীদের সংজ্ঞা হল; কোরআন শরীফের প্রত্যেক হরফ কে তার মাখরাজ হতে সিফাত সহ উচ্চারণ করা।


তাজবীদের বিষয়বস্তু হলো ;কোরআন শরীফ শুদ্ধ ও সুন্দর করে পড়া।


সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জানা দরকার কোরআন শরীফ তাজবীদ সহ অর্থাৎ শুদ্ধ করে পড়া। এবং প্রত্যেকের জন্য একান্ত জরুরী নামাজে অথবা নামাজের বাহিরে যদি কুরআন শরীফকে সহি শুদ্ধ করে পড়া না হয়। তাহলে পাঠকারী অবশ্যই গুনাহগার হবে।


কুরআন শরীফ পড়তে দুই ধরণের ভুল হয়ে থাকেঃ (১) লাহনে জলী (২) লাহনে খফী ।



প্রথম প্রকার এমন ভুল যে এক হরফ কে অন্য হরফ দ্বারা বদলে ফেলে। অথবা কোন হরফ কে যবর যের পেশ ভুল করে। বা শাকিনকে হরকত দিয়ে অথবা মোতাহার রিককে সাকিন পরে ফেলে। অথবা কোন হরকত কে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন করে ফেলে। তাহলে এরকম পাঠকারী বড় গুনাহগার হবে। কেননা এরকম মারাত্মক ভুল করা মানে কুরআনকে বিকৃত করা যা সম্পূর্ণ হারাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থ বিকৃত বা বিনিষ্ট হয়ে যায়।


আর দ্বিতীয় প্রকার ভুল অর্থাৎ প্রতি হরফের সুকুন ঠিক থাকার পরও এমন কিছু সিফাত আদায় না হয়, যেগুলোর সম্পর্ক কেবল হরফের সৌন্দর্যের সাথে। তাহলে বড় গুনাহগার হবেনা ঠিক ,কেননা তা প্রথম প্রকারের চেয়েও হালকা ও শুকনো। কিন্তু গুনাহ এর ভয় আশঙ্কা রয়েছে। যেমন ইজহারের জায়গায় ইখফা বা গুন্নাহ করা। ইখফার স্থানে ইজহার বা ইদগাম করা।


মদ্দ বা তাওয়াসুতের স্থলে কাঁসার কারা। পুরের স্থলে বারিক পড়া। আর বারিকের স্থলে পুর পড়া । মারুফুর স্থলে মাজহুল পাড়া। এসব  ভুল মাকরুহ হলেও তা থেকে বাচা প্রয়োজন।


অধিকাংশ লাহনে জলি নামাজ নষ্ট করে তাই  আমাদের তাজবিদসহ কুরআন পড়তে হবে। 


বিসমিল্লাহ পড়ার নিয়ম


যখন কোন সূরা থেকে মূল কেরাত শুরু হবে তখন বিসমিল্লাহ পড়া জরুরী। তবে সূরা তাওবা এর শুরুতে নয়। কোন সূরার মধ্যখানে থেকে পড়া শুরু করলে পাট কারি ইচ্ছা করলে বিসমিল্লাহ' পড়বে। ইচ্ছা না হলে নাও পড়তে পারে।


(ক) যখন সূরা শুরু থেকে কেরাত আরম্ভ হবে তখন চারটি পদ্ধতি যেকোনো একটিতে পড়া জায়েজ।


( ১ ) আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ কে সাথে মিলিয়ে পড়া ওয়াসলে কুল বলা হয়।

( ২) প্রত্যেকটি কি আলাদা আলাদা করে পড়া। একে ফাসলে কুল বলা হয়।

( ৩) আউযুবিল্লাহ কে পৃথক এবং বিসমিল্লাহ কে মিলিয়ে পড়া সুরার সাথে,তাকে ফাসলে আওয়াল ওয়াসলে সানি বলা হয়।

( ৪) আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ কে একসাথে। আর সূরা কে পৃথক করে পড়া এর নাম ওয়াসলে আউয়াল ফাসলে সানি বলা হয়।


(খ) আর যখন তেলাওয়াতের মধ্যখানে কোন সূরা শুরু হবে। অর্থাৎ কোন আয়াত বা সূরা শেষ করে অন্য কোন সূরা বা ওই সূরাহ আবার প্রথম থেকে পড়তে শুরু করবে। তখন বিসমিল্লাহ অবশ্যই পড়বে চাই এক শ্বাসে পড়ুক। অথবা প্রথম সূরা পড়ে ওয়াকফ করে দ্বিতীয় সূরা শুরু করুক। তবে এই সময় চার পদ্ধতির তিনটি জায়েজ হবে। ওয়াসিলেকুল. ফাসলে কুল, ও ফাসলে আউয়াল ওসলে  সানি। ওসলে আউয়াল ফাসলে সানি জাইজ হবে না। যদি কোন সূরা শেষ করে সূরা তাওবা থেকে পড়া শুরু করা হয় তবে ওয়াসাল, ওয়াকফ, সাকতা তিনটি জায়েজ আছে। যে কোন টি গ্রহণ করতে পারে।

(গ) আর যখন কোন সূরার মধ্যখানে থেকে কেরাত শুরু করবে। এবং তেলাওয়াত কারী আউযুবিল্লাহ সাথে বিসমিল্লাহ পড়তে ইচ্ছুক হবে। তখন মাত্র দুটি পদ্ধতি জায়েজ (১) ফাসলে কুল (২) ওসলে আউয়াল ফাসলে সানি।


ফায়দা;


যদি তেলাওয়াতের মধ্যখানে তেলাওয়াত কারী তেলাওয়াতের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কোন কথা হয়ে যায়। যেমন সালামের জবাব দান বা অন্য কোন কথা বলা হয়। তাহলে আউযুবিল্লাহ পড়তে হবে। যতবারই এরকম তেলাওয়াত থেকে বের হবে ততোবারই ইস্তিআযা পাল্টাতে হবে। কেননা ইস্তিআজাহ হলো আল্লাহর কালাম ও অন্যের কালাম এর মধ্যে পার্থক্যকারী। তেলাওয়াত উচ্চ সুরে হলে আউযুবিল্লাহ উচ্চ সুরে হবে। তবে উচ্চ সুরে তেলাওয়াতের সাথে নিম্নস্বরে আউযুবিল্লাহ পড়া বৈধ। এভাবে নিম্ন সুরে তেলাওয়াত এর সাথে নিম্ন সুরে ইস্তিআযাহ পড়বে। তবে হা নামাযের বাইরে হলে নিম্ন সুরে তেলাওয়াত এর সাথে উচ্চ সুরে আউযুবিল্লাহ হলে কোন বাধা নেই। আর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম কে ইস্তিআযাহ বলা হয়।


প্রথম অধ্যায় হরফের মাখরাজ সমূহের বর্ণনা:--


যেসব স্থান থেকে হরফ সমূহ উচ্চারণ হয় সে

গুলোকে মাখরাজ বলে।

17 টি মাখরাজ হতে হরফ উচ্চারণ হয়।

প্রথম মাখরাজঃ

 জাউফে দাহান, অর্থাৎ মুখের ভিতরের

খোলা অংশ। এখান থেকে  হরফে মাদ্দাহ

অর্থাৎ যে আলিফ এর পূর্বে জবর, ওয়াও

এর পূর্বে পেশ, ইয়ায়ের পূর্বে জের হবে

এবং তিনটি ঝাটকা ছারা সাকিন হবে।

এই মাখরাজ থেকে বের হবে। এই তিনটি

হরফ হাওয়ার উপর শেষ হয় বলে

এগুলোকে হরফে হাওয়াইয়া  বলা হয়।


দ্বিতীয় মাখরাজঃ 

আকসায়ে হাল্ক, যা সিনার সাথে মিলিত।

এখান থেকে শক্ত হামজাহ ও হা বের হয়।


তৃতীয় মাখরাজঃ 

ওয়াসতুল হাল্ক, গলার মাঝখান এখান

থেকে আইন এবং হা বের হয়।


চতুর্থ মাখরাজঃ

আদনাল হলক, গলার উপরিভাগ।

এখান থেকে গাইন ও খা উচ্চারিত হয়।

এই 6 টি হরফ কে হরফে হালকি আ বলে।


পঞ্চম মাখরাজঃ

কাফ এর এটি লাহাত অর্থাৎ ছোট জিব্বার

সাথে মিলিত বড় জিব্বার মূল।

যখন উপরের তালুর সাথে ধাক্কা খাবে।

তখন কাফ উচ্চারিত হবে।


ষষ্ঠ মাখরাজঃ

কাফ এর এটি কাফ এর মাখরাজের

নিকটবর্তী মুখের দিকে একটু নিচে হঠে।

এই দু'টি হরফ কে হরফে লাহাতিয়্যাহ বলা হয়।


সপ্তম মাখরাজঃ

ওয়াসাতুল লিসান, অর্থাৎ জিব্বার

মাঝখান এবং তার বরাবর উপরের তালু।

এখান হতে জিম,সিন, এবং ইয়া,

গায়রে মাদ্দা উচ্চারিত হয়।

এই তিনটি হরফ কে হরফে

সাজারিয়্যাহ বলা হয়।


অষ্টম মাখরাজঃ

দোয়াদ এর হাফফায়ে লিসান,

জিব্বার গুরি যখন উপরের গাইল

দাঁতের জ্বরের সাথে লাগবে,

তখন দুয়াদ উচ্চারিত হবে। ডান

দিকে হোক অথবা বাম দিকে।

তবে অধিকাংশ লোকের বাম

দিক হতে উচ্চারিত হয়।

তবে উভয় দিক হতে একসাথে

দোয়াদ উচ্চারণ করা খুবই কঠিন।

এটি খুবই দুর্বল দুষ্প্রাপ্য। এটি একাই

ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বৈশিষ্ট্য ছিল।


নবম মাখরাজঃ

লামের,জিব্বারকিনারাএবংজিব্বার

কিছু অংশ যখন সানায়,রাবায়ী,

নাব ও জাহিকের সাথে

কিছুটা তালুর দিকে উঠে টক্কর দিবে,

তখন লাম উচ্চারিত হবে।

এই হরফ ও ডান বা বাম যে কোন

দিক থেকে উচ্চারিত হয়।

এই হরফ এর চেয়ে বেশি প্রশস্ত

আর কোন হরফের মাখরাজ নেই।


দশম মাখরাজঃ

নূনের, এই মাখরাজ ও জিব্বার

কিনারাই। তবে লামের মাখরাজ

হতে একটু কম।

অর্থাৎ জাহিক দাঁত তাতে শামিল

নয়। এটি নুনে মোতাহাররিক ও

ইজহারের নুন সাকিনের মাখরাজ।


একাদশ মাখরাজঃ

রা-এর, এটি নুনের মাখরাজের

নিকটবর্তী।

তবে তাতে জিব্বার পিঠের কিছুটা

দখল রয়েছে।

এই তিনটি হরফ কে তরফিয়্যাহ

এবং যাওলাকিয়্যাহ বলা হয়।


দ্বাদশ মাখরাজঃ

তুয়া,দাল,ও তা,এর। ইহা জিব্বার

আগা সানায়া উলায়া দাঁতের গোড়া।

এই তিনটি হরফ কে নিতাই'য়্যাহ

বলা হয়।


এয়োদশ মাখরাজঃ

যোয়া,যাল,ও ছা এর।

এগুলি জিব্বার কিনারা এবং

সানায়া উলায়া দাঁতের আগা

থেকে বের হয়।

এগুলোকে লিসাওয়িয়্যাহ বলা হয়।


চতুর্দশ মাখরাজঃ

হরফে সাফীরিয়্যাহ, অর্থাৎ

সোয়াদ, সিন, ও যা, এর।

ইহা জিব্বার মাতা এবং সানায়া

সুফলার কিনারা সানায়া

উলায়ার মিলন সহ উচ্চারিত হয়।

এগুলোকে হরফে আসলিয়্যাহ বলা হয়।


পঞ্চদশ মাখরাজঃ

ফা এর, ইহা নিচের ঠোঁটের পেট.

এবং সানায়া উলায়ার কিনারা।


ষোড়শ মাখরাজঃ

দুই ঠোঁট, এগুলো থেকে বা, মিম,

এবং ওয়াও, গায়ের মাাদ্দাহ বের হয়।

বা, দুই ঠোঁটের বিজা স্থান হতে

এবং মিম, শুকনো স্থান হতে

উচ্চারিত হয়।

আরওয়াও,গায়ের মাদ্দাহ দুই ঠোঁটের

অসম্পূর্ণ মিলনের অবস্থায় বের হয়।

যেভাবে ফু দেওয়ার সময় দুই ঠোঁট

সম্পূর্ণরূপে মিলে।

এই তিন হরফ এবং ফা কে

শাফাওয়িয়্যাহ বলে।


সপ্তদশ মাখরাজঃ

খাইশূম, অর্থাৎ নাকের বাঁশি।

এখান থেকে গুনাহ বের হয়।

এই গুন্নাহ সিফাতটি কেবল নুন

ও মিমের সাথে বিশেষিত আর

কোন হরফে নেই।

এই খাইশূমই ইখফার নূন,

ইদগামে নাকিসের নূন এবং

ইখফার মীম ইত্যাদিরও মাখরাজ।

যদিও এর সাথে আসল মাখরাজ

10 ও ১৬ এরও কিছুটা সংযুক্তি রয়েছে।

তথাপি পরিভাষায় এগুলোর মাখরাজ

এই খাইশূমকেই কেই বলা হয়।

ফায়দাহঃ

উল্লেখিত হরফ সমূহ বর্ণিত

মাখারিজ হতে যদি উচ্চারণ

না করা হয়,

তাহলে সেগুলো বিকৃত

নব আবিষ্কৃত  হয়ে যাবে।

এতে কোনটি পরিবর্তন

কোনটি অনাযিলকৃত

এবং কোনটি অনারবীও হবে।

যদিও পাঠকারী থাকে

সহি-শুদ্ধ বুজে থাকে।

হরফ সমূহের মাখরাজের

পরিশুদ্ধি এবং জাতি সিফাত গুলি

আদায় করাই হচ্ছে তাজবীদ

এর প্রধান লক্ষ্য।


     " দ্বিতীয় অধ্যায়" 

হুরূফের সিফাতের বর্ণনাঃ

সিফাত" হরফের সেই অবস্থা। যা দ্বারা এক মাখরাজের কয়েকটি হরফ পরস্পর পৃথক বুঝা যায়। অথবা যা দ্বারা প্রত্যেক হরফ শক্ততা, নম্রতা ইত্যাদিতে সঠিক ও আরব ভাষীদের মত হয়ে যায় সিফাত 2 প্রকারঃ-

১/ জাতিয়াহ, লাজিমা; যা হরফ থেকে কখনো পৃথক হয় না। পৃথক হলে হরফ সমূহ পরস্পর আলাদা হয় না। বা তার মধ্যে কিছুটা অসম্পূর্ণতা ও ক্রুটি থেকে যায়। এগুলোকে মুমায়্যিযাহ , মুকাওয়িমাহও বলা হয়।

২/ মহালিয়াহ, আরিযিয়াহ; যা অন্য কোন সিফাতে জাতিয়াহর কারণে বা অন্য কোন হরফ মিলিত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। এ ধরনের সিফাতগুলো কে মহাসসিনাহ এবং মুযায়্যিনাহ গণ্য করা হয়। এগুলোর অনাদায়ে হরফের পূর্ণত্ব ও সৌন্দর্য খোয়া যায়। নাযিল হওয়া কালীন অবস্থা লোপ পায় এরকম সিফাতঃ- লাম, রা,  মিম, নুন, হামজা, আলিফ, ওয়াও, ইয়া। 

এই আটটির মধ্যে কেবল পাওয়া যায়। যার আলোচনা ইনশাআল্লাহ সামনে করা হবে। প্রসিদ্ধ সিফাতের যাতীয়  লাযিমাহও মাখরাজের মতো 17 টি এগুলো দুই প্রকার (ক) মুতাযাদ্দাহঃ- যার বিপরীতে যৌক্তিক বা পারিভাষিক কোন সিফাত রয়েছে।

(খ) গায়র মুতাযাদ্দাহঃ যার বিপরীতে পারিভাষিক কোন সিফাত নেই। যুক্তি প্রসূত বিপরীত নিশ্চয়ই থাকবে। আর না হলে ও সেই সিফাতের অস্তিত্বহীনতা দাড়াও তো তা ব্যক্ত করা যাবে।

"সিফাতে মুতাযাদ্দাহ" দশটি যেগুলোর পাঁচটি অপর পাঁচটির বিপরীত ও বিরোধী।

১/ হামসঃ 

যে হরফ উচ্চারণ করলে এই অবস্থা পাওয়া যায় তাকে মাহমূসাহ বলা হয়। মাহমূসাহ হরফ দশটি।যথাঃ- ফা, হ্যাঁ, ছা, হা, সিন, খা, সোয়াদ, ছিন, কাফ, তা, এসব হরফ উচ্চারণ কালে তার আওয়াজ মাখরাজের এমন দুর্বলভাবে থামা উচিত। যাতে শ্বাস প্রবাহিত তাকে এবং আওয়াজ খানিক নিচু গামী হয়। যেমনঃইয়ালহাছ এর ছা।

২/জাহরঃ

এটা হামস এর বিপরীত মাহমুদ চার হরফ রাজি ছাড়া বাকি মা জহুরা এসব হরফ উচ্চারণের সময় আওয়াজ মাখরাজে শক্তভাবে থামবে আটকে যাবে হরফের সুরে ও খানিক উচ্চতা আসবে যেমনঃ ইউমীনু এর হামযাহ।

৩/ সিদ্দাতঃ

এই সিফতে গুনান্বিত হরফ সমূহকে সাদিদাহ বলা হয়। এই হরফ আটটি যথাঃ- আলিফ, জিম, দাল, কাফ, দুয়াদ, বা, কাফ, তা, এরমধ্যে সন্নিহিত সাদীদাহ হরফ উচ্চারণকালে। তার সুর মাখরাজে গিয়ে এমন ভাবে তামবে যে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে। এবং তাতে শক্ততা আসবে যেমনঃ আহাদ এর দাল।


৪/রিখওয়াহঃ

সাদিদা হর বিপরীত সিফত। সাদিদাহ এবং মুতাওয়াসসিতাহ এর হরফ গুলি ব্যতীত বাকি সব হরফ রিখওয়াহ। এগুলো উচ্চারণের সময় আওয়াজ আপন মাখরাজে দুর্বল ভাবে তামা চাই। যাতে সুর প্রবাহমান থাকে এবং তাতে একটু নম্রতা পাওয়া যায়। যেমন মাইশা এর সিন।

৫/ ইস্তি'লাঃ

এর হরফ গুলিকে  মুস্তা'লিয়াহ বলা হয়। যাخص ضغط قظ  এর মধ্যে একত্রিত রয়েছে। এগুলো আদায়ে জিব্বার গুড়া সর্বদা উপরের তালুর দিকে ওটা চাই। যারকারনে হরফ গুলো একটু মোটা হবে। যেমন আলখা ইনিন এর খা।

৬/ ইস্তিফালঃ

এটি ইস্তিলার বিপরীত। এর হরফ সমূহকে মুস্তাফিলাহ বলা হয়। এগুলো উচ্চারণে জিব্বার গুড়া উপরদিকে বিলকুল না উটা চাই। ফলে হরফ গুলো একটু বারিক থেকে যাবে। যেমন জালিকা এর জাল।

৭/ ইত্ববাক্বঃ

এর হরফ কে মুত্ববাক্বাহ বলা হয়। সেগুলো হল ط.ظ.ص.ض এগুলো উচ্চারণকালে জিব্বার মধ্যভাগ উপরের তালু সাথে মিলে লেপ্টে যাওয়া চাই। যেমন فطال এর ط।

৮/ ইনফিতাহঃ

এটি ইত্বিবাকের বিপরীত। এর হরফ কে মুনফাতিহাহ বলা হয়। মুত্বাবাক্বাহ  হরফ সমূহ ব্যতীত বাকি সব মুনফাতিহাহ। এগুলো উচ্চারণের কালে জিব্বার মধ্যভাগ তালু থেকে আলাদা থাকা চাই। জিব্বার গোঁড়া উপর দিকে উঠুক বা না উঠুক।  যেমন زاغ এর তে উঠবে না এবং قا ل এর ق এ উঠবে।

৯/ ইয্লাক্বঃ

এর হরফ সমূহ কে মুযলাক্বাহ বলা হয়। যার সমষ্টি   فر من لب এগুলোর উচ্চারণ এত সহজভাবে হওয়া চাই, যেরকম পিছল স্থান দিয়ে কোন বস্তু পিছলে নেমে যায়। এর ফলে এই হরফ গুলো অতি দ্রুত উচ্চারণ যোগ্য। যেমনمالك এর মীম।

১০/ ইসমাতঃ

এটি ইযলাক্বের বিপরীত। এর হরফ কে মুসমাতাহ বলা হয়।মুযলাক্বাহ ছাড়া বাকি হরফ গুলো মুসমাতাহ। এই হরফ গুলোকে নিজ নিজ মাখরাজ হতে বলিষ্ঠতা ও মযবূতীর সাথে উচ্চারণ করা দরকার। নতুবা তা অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ ভাবে উচ্চারিত হবে।




This is a best islamic media

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন