মাসআলা



সূচীপত্র  

ঈমান ও আকাইদ

১/ঈমান এবং ইসলামের শাব্দিক এবং শরয়ী অর্থ কি?
২/ঈমান এবং আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি
৩/"কোন ব্যক্তি ততক্ষণ প্রশ্ন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না "ঐ সমস্ত হাদীস দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
৪/ইমান মাখলুক কি না?
৫/ ইসলামে প্রবেশ করার জন্য কি কি শর্ত রয়েছে?

প্রথম প্রশ্ন : ঈমান এবং ইসলামের শাব্দিক এবং শরয়ী অর্থ কি?

উত্তর: ঈমানের শাব্দিক অর্থ সত্যায়ন করা অর্থাৎ  কোন সংবাদের হুকুমের উপর বিশ্বাস করা।

শরীয়তের পরিভাষায় ঈমান বলা হয়: 

অন্তর থেকে ওই সমস্ত জিনিস কে সত্যায়ন করা যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে এসেছেন।

সূত্র:

 শরহে আকাইদ 120 পৃষ্ঠা।

ইসলাম এর শাব্দিক অর্থ মেনে নেওয়া এবং অনুসরণ করা।

শরীয়তের পরিভাষায় ইসলাম বলা হয়: কালিমায়ে শাহাদাত কে শিকার করে,আল্লাহ তাআলার আনুগত্যশীল হওয়ার সাথে সাথে তার অাদেশ সমূহ পালন করা এবং তার নিষেধ সমূহ বর্জন করা।

সূত্র:

 উমদাতুল কারী প্রথম খন্ড 109 পৃষ্ঠা।


দ্বিতীয় প্রশ্ন: ঈমান এবং আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর: ঈমান অন্তর থেকে সত্যায়ন করার নাম তাকেই সমাজে আকিদা বলে ব্যাখ্যা করা হয় এবং ঈমান পরিপূর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্য হল, মানুষ সমস্ত ঈমানিয়াতের উপর বিশ্বাস করার সাথে সাথে তার চাহিদা গুলোর উপর আমল করবে অর্থাৎ সমস্ত আদেশাবলী কে সামর্থ্য অনুযায়ী পালন করবে এবং নিষেধাবলী থেকে বেঁচে থাকবে।

সূত্র:

 মুজামুল ফুকাহা 318 নাম্বার পৃষ্ঠা।


তৃতীয় প্রশ্ন: "কোন ব্যক্তি ততক্ষণ প্রশ্ন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না "ঐ সমস্ত হাদীস দ্বারা কি উদ্দেশ্য?

উত্তর : ওই সমস্ত হাদিস দ্বারা মূল ঈমানকে না করা উদ্দেশ্য নয় বরং পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়াকে নিষেধ করা হয়।সুতরাং হাদিসের উদ্দেশ্য ইহা হবে যে, যে ব্যক্তি এই অবস্থাকে নিজের ভিতর পাবে না, সে পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। অবশ্য মূল ঈমানদার হওয়া এর দ্বারা নফী করা হয় না।

সূত্র :

ফাতহুল বারী প্রথম খন্ড 79 পৃষ্ঠা।


চতুর্থ প্রশ্ন: ইমান মাখলুক কি না?

উত্তর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা হলো; ঈমান ও আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির মধ্য থেকে একটি।

সূত্র :

শরহে আকাইদ মা'আ নিবরাস 170 পৃষ্ঠা।


পঞ্চম প্রশ্ন: ইসলামে প্রবেশ করার জন্য কি কি শর্ত রয়েছে?

উত্তর: যে ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করতে চায় তার জন্য ইহা আবশ্যক যে, সে সত্য হৃদয়ে আল্লাহ তায়ালা এক হওয়া এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেষ নবী হওয়ার সাক্ষ্য দেবে,এবং ইসলামের সত্যায়ন করবে,  কুফুর ও শিরিকের সমস্ত প্রতীক পালন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবে উত্তম হলো যে, ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে।

সূত্র :

সুনানে আবু দাউদ প্রথম খন্ড 51 নম্বর পৃষ্ঠা 355 নম্বর হাদিস।

ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া দ্বিতীয় খন্ড 253 নাম্বার পৃষ্ঠা।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন