সূচিপত্র
১/
শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার গল্প২/ শবে কদর
৩/ তিরস্কৃত ছেলেটি
 |
This is a best islamic media
|
ভালোবাসা কী?
কাকে বলে ভালোবাসা?
ভালোবাসা কত প্রকার?
বৈধ কোনটি?অবৈধ কোনটি?
প্রতিটি বিষয় নিয়ে পড়েছি অনেকবার।পড়তে হয়ে কোরআন,হাদীস বুঝার তাগীদে।
তথাপি কোন নারীর প্রতি আমার ভালোবাসা কিংবা ভালো লাগা জন্মায়নি।এটি হয়ত আমার ভালো দিক।যাকে আমি লালন করি,আপন শক্তিতে বেড়ে উঠতে দেই হৃদয়ের প্রতিটি কোণ উজাড় করে।
এই একাকীত্বের জীবন,এই নির্জনতা আমার মনে একটি বিশেষ ধারণা তৈরী করে দিয়েছে,আর তা হলো বর্তমান যুগে ভালোবাসা নামক কোন কিছুই নেই।রয়েছে শুধু হিংসা,লোভ,স্বার্থপরতা।আমার এই ধারণা বেশ কাজে লেগেছে ব্যক্তিগত ভাবে।
কিন্তু আজকের প্রভাত আমাকে কিছুটা সতর্ক করেছে,জানান দিয়েছে একটি নব দিগন্তের।
আমি শুয়ে আছি, কিছুই ভালো লাগছেনা।তাই মনে পড়লো একটু ইউটুব দেখে নেই, হয়ত নতুন কোন গজল পাবো।আমি আবার এই একাকী জীবনে গজলকে সাথি করে নিয়েছি,সে আমার বেশ ভালো সঙ্গ দেয়।
ইউটুবে প্রবেশ করতেই একটি পোস্টার চোখে পড়লো।পোস্টারে লেখা "নিশ্চিত মৃত্যু জেনে ভালোবেসে বিয়ে করলো লিজা"।
পোস্টারটি পড়ে আমি থমকে যাই,প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাই নিজের কাছে।তাই দেরি না করে, ভিডিওটি অন করলাম।দেখালাম জার্মানের একটি মেয়ে, নাম তার এলিজাবেথ।
ছোট্টকালে বাবাকে হারিয়ে ফেলে।মাকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। অভাবের কারণে সে কাজে নেমে যায়।এভাবে বাল্যকাল চলে গিয়ে কিশোরী পাড়ি দিয়ে তরুণী হয়ে যায় সে।কাজ করতো একটি স্টোবেরির বাগানে।
সেখানে কাজ করতো অপু নামের এক বাঙালি যুবক।অপু কাজে, কথায় বেশ চমৎকার।আর চরিত্র ফুলের মত।
অপুকে দেখে এলিজাবেথ নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা শুরু করে।তাদের পরিচয় হয়।ভালোবাসে একে - অপরকে।ক'দিন যেতে না যেতেই অপুর ব্রেইন টিউমার হয়ে যায়। ডাক্তার বলেছে,সে আর তিন মাস বাঁচবে।
এলিজাবেথ তা শুনতেই পাগলের মত ছোঁটে আসে অপুর কাছে।সে অপুকে একা রাখতে চায় না।অপুর সেবায় নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করতে চায়।কিন্তু তাদের তো বিয়ে হয়নি।
তাই সে মুসলমান হয়ে যায়।বিয়ে করে তার ভালোবাসার মানুষ অপুকে।তার নাম লিজা রেখে নেয়।অপুর মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত অপুর ছায়া হয়েছিলো সে।
অপু মারা যাওয়ার পর লিজা বাংলাদেশে আসে,অপুর কবর যিয়ারত করে।অপুর পরিবারকে ভালোবাসে। অপুর ভালো লাগার স্থানগুলোতে ঘুরে,অনুভব করে প্রিয়তমের অস্তিত্ব।
This is a best islamic media
সে এখন পুরো ধার্মিক মেয়ে,অনেক জন্ম নেওয়া মুসলিম মেয়ে থেকে ভালো।
তার জীবন কাহিনী শুনে, চোখে জল চলে আসে। দুআ আসে তাদের জন্য হৃদয় থেকে। ভয় হয় মেয়েটির জন্য।কেননা সে এমন একটি দেশে আসে,যারা হচ্ছে হিংস্র।যারা ভালোকে মূল্যায়ন করতে জানেনা।যারা শুধু জানে ধর্ষণ আর হত্যা।যেখানে কোন বিচার হয়না।
This is a best islamic media
তাদের ভালোবাসা আমার হৃদয়ে কিছু প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলো,তখন আমি হৃদয়কে বললাম: "হে হৃদয়! বর্তমান ভালোবাসা শুধু লিজা আর অপুর জন্যই বরাদ্ধ ছিলো"।
 |
This is a best islamic media
|
নিশ্চয় অামি তাকে (কুরআনকে) অবতীর্ণ করেছি ক্বদরের রাত্রে।তুমি কি জানো ক্বদরের রাত্র কী? ক্বদরের রাত্র হচ্ছে হাজার মাসের থেকে উত্তম।(এই রাত্রে) ফেরাশতারা এবং রূহ (জিবরীল) তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে।শান্তিময় সে রজনী, ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত।
______সূরা ক্বাদর,পারা:৩০
This is a best islamic media
হযরত অানাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (সা.) বলেছেন:ক্বদরের রাত্রি শুরু হলে,জিবরীল ফেরেশতাদের দলসহ দুনিয়ায় অবতীর্ণ হয়ে,অাল্লাহর ওই সকল বান্দাদের জন্য দুঅা করতে থাকেন।যারা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে ইবাদাতে লিপ্ত হয়।তারপ
র বান্দাদের ঈদের দিন উপস্থিত হলে অাল্লাহ পাক তাদের ব্যাপারে নিজ ফেরেশতাদের নিকট গৌরব করে জিজ্ঞেস করেন। হে অামার ফেরেশতাগণ!তোমরা বল তো এই ধরণের শ্রমিকদের কি ধরনের প্রতিদান দেওয়া উচিত? ফেরেশতাগণ জবাবে বলেন:হে অামাদের রব!তাদের প্রতিদানস্বরূপ তাদেরকে, কাজের পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত। তখন অাল্লাহ পাক বলেন : হে ফেরেশতাগণ!অামার বান্দা ও বান্দিগণ তাদের প্রতি অামার অর্পিত দায়িত্বসমূহ যথারীতি পালন করেছে,তারপর অামার কাছে(ঈদগাহে) দুঅা করতে করতে এসেছে। অামার ইযযতের ও সম্মানের কসম, তোমরা জেনে রাখ,তাদের এই দুঅা নিশ্চয় অামি কবুল করব।তারপর অাল্লাহ বলেন:হে অামার বান্দাগণ!নিশ্চয় অামি তোমাদেরকে মার্জনা করলাম এবং তোমাদের গুনাহগুলোকে নেক অামলে রূপান্তরিত করে দিলাম।হুযুরে পাক (সা.) বলেন: তখন মানুষ ক্ষমা লাভ করা অবস্থায় নিজ নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন করে।
_______বায়হাকী,মিশকাতঃ১৮২-১৮৩
This is a best islamic media
হযরত অাবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন,নবীজি (সা.) বলেছেন:যে ব্যক্তি ইমান সহকারে, সওয়াবের নিয়তে রমযানের রোযা রাখবে,তার পূর্বেকার (সগীরাহ) গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।অার যে ব্যক্তি ইমান সহকারে, সওয়াবের নিয়তে রমযানের রাত্রি ইবাদাতে অতিবাহিত করবে ,তার পূর্বেকার (সগীরাহ) গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।অার যে ব্যক্তি ইমান সহকারে, সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রি ইবাদাতে কাটাবে,তার পূর্বেকার (সগীরাহ) গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
______বুখারী, মুসলিম,মিশকাতঃ১৭৩
শবে কদরে করণীয়ঃ----
(১)নফল নামায,তেলাওয়াত, তাসবীহ ইত্যাদি করা।
★★শবে কদরের নির্দিষ্ট কোন নামায,নিয়ত,সূরা নেই।
(২)নফল ইবাদত নিজ ঘরে একাকী করা উত্তম।
(৩)এই রাতে দুঅা কবুল হয়,তাই বেশী বেশী দুঅা করা।
(৪)শবে কদরে নবীজি অায়েশা (রাযি.)কে বিশেষভাবে এই দুঅা পড়তে বলেছেন:
★অাল্লাহুম্মা ইন্নাকা অাফুওয়ুন তুহিব্বুল অাফওয়া ফা'ফু অান্নি★।
_____তিরমিযী, মসনদে অাহমদ
This is a best islamic media
★★★শবে কদর হচ্ছে ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯ তারিখ।২৭তারিখে শবে কদরের সম্ভাবনা বেশী।
তিরস্কৃত ছেলেটি
রাহাত খুব দুষ্ট একটি ছেলে।তার দুষ্টুমির কারণে পাড়ার লোকেরা নানা কথা বলে।তবুও তার প্রতি মা-বাবার ভালোবাসার কোন কমতি ছিলোনা।তারা স্বপ্ন দেখতেন একদিন তাদের ছেলে অনেক বড় হবে।সেদিন সবাই থাকে বুকে টেনে নেবে।কিন্তু তার মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা।যত বড় হচ্ছে ততই দুষ্টুমি বাড়ছে।
একদিন তার বাবা এক মাওলানা সাহেবের পরামর্শে,তাকে পাঠিয়ে দেন তাবলীগে।সেখানে সে ধর্মীয় নানা বিষয় জানতে পারে।জানতেপারে মা-বাবার খেদমত ও মানব সেবা সম্পর্কিত আল্লাহর নির্দেশ।তখন তার ভিতর আল্লাহর ভয় ঢুকে যায়।শপথ করে একজন ভালো মানুষ হওয়ার।মানবেরতরে জীবন বিলীয়ে দেবার।
সেদিন থেকেই সে পাল্টে যায়।কিছুদিনের ভিতর সমাজের তিরস্কৃত ছেলেটি হয়ে ওঠে সবার প্রিয় পাত্র।পেতে থাকে মা-বাবার দোআ আর নিঃশ্বার্ত ভালোবাসা।সে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে থাকে। তাকে হেদায়াতের তাওফিক দেয়ায়।
লেখকঃ মাহমুদ হাসান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন