তাবীজ বা ঝাড়ফুঁকের বিধান কি?

 তাবীজ ও ঝাড়ফুঁকে কাজ হওয়াটা নিশ্চিত নয়। হতেও পারে না-ও হতে পারে। যেমনঃ দুয়া করা হলে রোগ-ব্যাধি আরোগ্য হওয়াটা নিশ্চিত নয়। আল্লাহর ইচ্ছা হলে আরোগ্য হয় নতুবা হয় না। তদ্রুপ তাবীজ এবং ঝাড়ফুঁক একটি দুয়া বরং তাবীজ থেকে দুয়া বেশী শক্তিশালী। তাবীজ এবং ঝাড়ফুঁকে কাজ হলেও সেটা তাবীজ বা ঝাড়ফুঁকের নিজস্ব ক্ষমতা নয় বরং আল্লাহর ইচ্ছাতেই সবকিছু হয়।


সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব তাবীজ ও ঝাড়ফুঁক এজতেহাদ বা অভিজ্ঞতা থেকে বানানো। কুরআন ও হাদীসে যার ব্যাপারে স্পষ্ট বলা হয়নি যে, অমুক তাবীজ বা অমুক ঝাড়ফুঁক দ্বারা অমুক কাজ হবে। অতএব কোন তাবীজ বা ঝাড়ফুঁক দ্বারা কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ না হলে এরুপ বলার বা এরুপ ভাবনার অবকাশ নেই যে, কোরআন হাদীস কি তাহলে সত্য নয়।


তাবীজ ও ঝাড়ফুঁক কোরআন-হাদীসের দ্বারা বৈধ উদ্দেশ্যে করা হলে যায়েয। পক্ষান্তরে কোন কুফুর শিরিকের কথা থাকলে বা এরুপ কোন জাদু হলে তা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হারাম। এমনিভাবে কোন অবৈধ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাবীজ বা ঝাড়ফুঁক করা বৈধ নয়। যদিও কোরআন-হাদীসের বাক্য দ্বারা হয়।


যেসব বাক্য বা শব্দ কিংবা যেসব নকশার অর্থ জানা যায় না, তা দ্বারা তাবীজ বা ঝাড়ফুঁক করা বৈধ নয়।


কোন বিষয়ের তাবীজ বা ঝাড়ফুঁকের জন্য কোন নির্দিষ্ট দিন বা সময় রয়েছে বা বিশেষ কোন শর্ত রয়েছে- এরুপ মনে করা ঠিক নয়।


তাবীজ বা ঝাড়ফুঁকের জন্য কারো এজাযত প্রাপ্ত হওয়া জরুরী- এরুপ ধারণাও ভুল।


তাবীজ বা ঝাড়ফুঁকের দ্বারা ভালো আছর হলে সেটাকে তাবীজ দাতার বা আমেলের বুজুর্গি মনে করা ঠিক নয়।